An Interpretation of a poem of Quazi Johirul Islam from his newly published book ‘ওঁ থেকে উচ্চারিত’

The poem addresses the central teaching of the Buddha. The first five lines show that the so-called cyclic existence of births and deaths is an illusion from the viewpoint of ultimate truth. When in actuality there is no self or existence, there is no point talking about the eradication of self/existence. The allegory of ‘the page of sands’ stresses that the entire scenario of birth and death is just an illusory drama, because existence is anyway impossible as there is no solid ground to hold it.

The next five lines point out that everything that seems to have been happening in the beginningless history of the cosmos is just a causal process. Even this, he says, is not the truth. In his words: all this is an illusion, and that is the truth, and that is what the Buddha uttered.

The book can be ordered here.

বুদ্ধ (একটি কবিতা )

উপালি শ্রমণ

মানবের মাঝে জন্ম তোমার,images (14)

ছেদিছ সকল ক্লেশ।

সবার অগ্রে দাঁড়ায়েছ তুমি

গম্য তোমার শেষ।

অসহায় তব পথ ধরে খোঁজে

জীবনের আশ্রয়,

রিক্ত শ্রদ্ধা চিত্তে খোঁজে

তোমারই পথে জয়।

সিদ্ধির কথা বলিছ তুমি

নহে শুধু এ ধরায়,

তব ভক্ত লভে পরম শান্তি

প্রবল সাধনায়।

পুঁজার বেদিতে মহামানব তুমি

অন্তরে মোর আশা,

যত পরাজয়, যত পাই বাঁধা

হব না কভু হতাশা ।

তুষার-পাত

উপালি শ্রমণ

তুষার পরছে দিন দুপুরে তুষার পরছে রাতে ,
রাস্তা ঘাট আর খালবিল সব ভরা তুষার পাতে।
দেখতে যেন বৃষ্টিকণা, পরছে ফুলের মতন,IMG_0259
তুষার পাতের সাদা রঙ্গে ভরছে বিশ্ব ভুবন।

বাচ্চারা সব উচ্ছসিত, খেলছে তুষার নিয়ে ,

বড়দের ও লাগছে মজা দেখছে কাছে গিয়ে।

তুষারপাতে মজা আছে, কষ্ট ও কম নয়, 

অনিশ্চিতের মাঝেই সকল কর্ম থেমে রয়।

তীব্র বেগে তুষার হলে অফিস থাকে বন্ধ,
কাজ হয় না কিছু, তবে কর্মীদের আনন্দ।
তিন চার ফিট তুষার জমে চেনা যায় না রাস্তা,
হাঁটা চলা ভারি মুশকিল, আরো কেনাকাটা।

সবাই যেন গৃহবন্দী, প্রকৃতিটাই রাজা

তুষারপাতে মজার সাথে, হচ্ছে সবার সাজা।

দুটি কবিতাঃ ভাবনা ও মৈত্রী

(১) ভাবনা

যাবি চল এইখানটাতে,images1

যেখানে মুক্তি মেলে,

বাদ দেয় জেহাদ-ক্রুসেড,

ভরা তোর নিজেরই পেট।

নিজেকে বুঝবি যদি,

যোগ দেয় ভাবনাতে,

পারবি তবে গড়তে ভবে সুশীল সমাজ।।

(২) মৈত্রী

download (1)রণভূমি সজ্জিত যুদ্ধের সজ্জায়,

চাতকিতে চাহে কেউ কাকে দোষ বর্তায়।

লাঞ্ছিত কামিনী, বঞ্চিত জনগন,

ধর্মীয় নেতা যারা, বিচ্যুত শুভ মন।

শত্রুতে মিলে নাকো শত্রুতার অবসান,

বুদ্ধের বাণী করঃ মৈত্রীতে যোগদান।।

[২০০১ এ আলোড়ন পত্রিকায় প্রকাশিত]

সকলে শান্তি চায়!

wp_MultiLingualPeaceDoveসকলে শান্তি চায়!

কেন তবে আজ চারিদিকে এত অশান্তি-অন্যায়?

কেন চলিছে এ যুদ্ধ?

কেউ ভাঙ্গিছে মন্দির আবার কেউবা ভাঙ্গিছে বুদ্ধ?

অসহায় মানবতা,

শান্তির লাগি যুদ্ধে মেতেছে ভাই-বোন-মাতা-পিতা।

শান্তি সকলে চায়!

সবে স্বার্থান্বেষী শান্তির খোঁজে করে চলে অন্যায়।

আমরা মানুষ নাকি?

কিভাবে অন্য-মানুষে আঘাত হেনে নিজে শান্তিতে থাকি?

এসব মিথ্যে ছলনা,

শান্তির নামে ধোকাবাজি আর নিষ্ঠুর প্রতারণা।

যুদ্ধে মেলেনা শান্তি,

হিংসা, নিন্দা, মারামারি আনে অশান্তি-বিভ্রান্তি।

শান্তি আসিবে তবে,

অপরের তরে যেদিন তুমি নিজেরে বিলিয়ে দিবে। images (5)

মানুষ, চিন্তা করে দেখ-

একই রক্ত-মাংস মোদের হাসি-খুশি সব এক।

এই পৃথিবী মোদের ঘর,

একই ঘরের মানুষ আমরা, কেউ নয় কারো পর।

ভাগাভাগি করি চল,

পৃথিবীর এই রোদ, বৃষ্টি, আলো, বাতাস, মাটি, জল।

তবেই মিলিবে শান্তি,

এক হয়ে যেদিন তারাব মোরা সকল দুঃখ, ভ্রান্তি।

সকল আঁধার কালো,

তাড়িয়ে দিয়ে যেদিন বিলাব শান্তি-সুখের আলো।

এসো সব ভাই-বোন,

পৃথিবী জুড়িয়া শান্তি বিলাব এ হোক মোদের পন।